January 23, 2025, 5:03 am

বিজ্ঞপ্তি :::
Welcome To Our Website...
শিরোনাম ::
সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাবের অভিনন্দন আকাশ চৌধুরী সম্পাদিত ‘বিজয় চিরন্তন’বেরিয়েছে ওসমানী হাসপাতালের নার্স আছমা আলহারামাইন থেকে বহিস্কার দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাবে ব্যারিষ্টার এম এ সালামের মতবিনিময় সুনামগঞ্জের গামাইরতলা সীমান্তে ভুয়া পুলিশ সহযোগী সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর খাঁচাতে জনগনের কাছে তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে সঠিক ধারনা দিতে হবে: সিলেটে তথ্য সচিব সিলেটের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক শামীম “”বিদায় বেলায় ফুলেল শুভেচ্ছা সংবর্ধনা আর ভালোবাসা সিক্ত যিনি সাংবাদিক চঞ্চল মাহমুদ ফুললের সুস্থতা কামনায় দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাবের দোয়া মাহফিল শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক পুরস্কার পেলেন দক্ষ সংগঠক ও অভিনয়শিল্পী কামাল জৈন্তাপুরে বিভিন্ন কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
শামসুর রাহমানের একাদশতম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

শামসুর রাহমানের একাদশতম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আমার কবিতা আজ একরাশ পাতার মতন

উড়ে যায়, দূরে যায়, বস্তুত এ-সন্ধেবেলা যায়,

কোথায় যে যায়। (আমার কবিতা আজ)

নিজের কবিতা নিয়েই সন্দিহান ছিলেন কবি। তার মৃত্যুর পর ১০টি বছর চলে গেছে। তিনি কি হারিয়ে গেছেন বাংলার মানুষের হূদয় থেকে? আজ দেশের সাম্প্রতিককালের অন্যতম প্রধান কবি শামসুর রাহমানের একাদশতম মৃত্যুবার্ষিকী। কবি ২০০৬ সালের এদিনে চিকিত্সাধীন অবস্থায় ঢাকায় ইন্তেকাল করেন।

দীর্ঘ ছয় দশক কবি অত্যন্ত সাবলীল ধারায় লেখালেখি করে বাংলা সাহিত্যে অসাধারণ অবদান রাখেন। শামসুর রাহমান বাঙালির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ কবিদের একজন এবং আমাদের চলার পথের পাথেয়।

কবিতার বরপুত্র, কালের কণ্ঠস্বর এ কবি ছিলেন মৃদুভাষী। কিন্তু যে কোনো আন্দোলনে, অধিকার আদায়ের দাবিতে তিনি মানুষের পাশে ছিলেন। এক সাথে চলেছেন। তার লেখনী তো ছিলই, তিনি সশরীরেও এ সব আন্দোলনে যোগ দিতেন। তার কবিতা মানুষের মুখে মুখে মন্ত্রের মতো উচ্চারিত হয়। মুক্তিযুদ্ধে, মৌলবাদ ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তার কবিতা মানুষকে উজ্জীবিত করেছে, জুগিয়েছে প্রেরণা। সকল বিপর্যয়ে, দুঃশাসনে, মানবতার লাঞ্ছনায় বাঙালিকে বার বার ফিরে যেতে হবে কবি শামসুর রাহমানের কাছে। কবিতায় স্বাধীনতার প্রেরণাকে ধারণ করেছেন তিনি। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশ তার কবিতায় যেভাবে মূর্ত হয়ে ওঠে তা আর কারো কবিতায় খুব কম দেখা যায়।

কবি শামসুর রাহমান ১৯ বছর বয়সে কবিতা লিখতে শুরু করেন। সেটা ছিল ১৯৪৮ সাল। প্রথম কবিতা ‘উনিশশো ঊনপঞ্চাশ’ প্রকাশিত হয় সাপ্তাহিক সোনার বাংলায়। শামসুর রাহমানের প্রথম কবিতার বই ‘প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’ প্রকাশ পায় ১৯৬০ সালে। এর পর ষাট দশকে প্রকাশিত বইগওলো হচ্ছে— রুদ্র করোটিতে, বিধ্বস্ত নীলিমা, নিরালোকে বসতি, নিজ বাসভূমে। দেশ স্বাধীনের পর প্রকাশ পায় ‘বন্দি শিবির থেকে’, মাতাল ঋতিকসহ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কবির ৬০টি কবিতার বই। সাহিত্যে অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, আদমজী পুরস্কার, একুশের পদক, কলকাতা থেকে আনন্দ পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার লাভ করেন।

১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর বুধবার পুরানো ঢাকার মাহুতটুলির ৪৬ নম্বর বাড়িতে কবি জন্মগ্রহণ করেন। তার মায়ের নাম আমেনা খাতুন ও পিতার নাম মুখলেসুর রহমান চৌধুরী। পৈতৃক বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার পাড়াতলী গ্রামে। ১৯৫৭ সালে দৈনিক মর্নিং নিউজে সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। ১৯৫৭-১৯৫৯ রেডিও পাকিস্তানের প্রোগ্রাম প্রডিউসার ছিলেন। ১৯৬০-১৯৬৪ দৈনিক মর্নিং নিউজে সিনিয়র সাব-এডিটর, ১৯৬৪-১৯৭৭ দৈনিক পাকিস্তান ও দৈনিক বাংলায় সহকারী সম্পাদক এবং ১৯৭৭-১৯৮৭ দৈনিক বাংলার ও সাপ্তাহিক বিচিত্রার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। জাতীয় কবিতা পরিষদের পক্ষ থেকে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় বনানী কবরস্থানে কবি শামসুর রাহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও কবির সমাধিতে শামসুর রাহমানের পরিবারের সদস্যরা এবং বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এ ছাড়া কবির গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার পাহাড়তলী গ্রামেও দিবসটি বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হবে।


Comments are closed.




© All rights reserved © sylheteralo24.com
sylheteralo24.com